আজ বুধবার ঢাকার সি এম আদালতে কলাবাগান থানা পুলিশ উল্লেখিত দুটি মামলার নথি প্রেরণ করে। ঢাকার সিএম এম আদালতের দুর্নীতি দমন প্রসিকিউটিং কার্র্র্যালয়ে সংশ্লিষ্ট জি আর ও মামলা দুটি ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে উপস্থাপন করলে মামলা দুটি গ্রহণ করে একটি মামলায় ২৩ সেপ্টম্বর ও অপর মামলায় ২০ সেপ্টেম্বর মামলার আই.ও দুজনকে তদন্ত অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার দুপুরে দুদকে’র পক্ষে সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম এবং উপ-ব্যবস্থাপক মোজাহার আলী সরদার কলাবাগান থানায় এই মামলা দুটি করেন।

মামলার অভিযোগে দেখা যায়, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড কর্তৃপ ডেসটিনি ট্রি প্যানটেশন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে প্রায় চার হাজার কোটি সংগ্রহ করে। কিন্তু বর্তমানে তাদের পৃথক দুটি অ্যাকাউন্টে ৫৬ লাখ ও চার কোটি ৮৭ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। বাকি টাকা তারা অবৈধভাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। দুদক জানায়, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে কমিশন হিসেবে তা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা কর্মকর্তা ও এজেন্টদের কাছ থেকে আত্মসাৎ করে।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন ও ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা হলেন— ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মাদ হোসেন, পরিচালক সাঈদ-উর-রহমান, গোফরানুল হক, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানি, মিসেস ফারাহ দীবা, জমসেদ আরা চৌধুরী, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়বুর রহমান, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকরাম হোসেন সুমন, মিসেস শিরিন আক্তার, মো. রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, মো. সুমন আলী খান, মো. সাইদুল ইসলাম খান (রুবেল), মো. আবুল কালাম আজাদ ও লে. কর্নেল দিদারুল আলম।

অভিযোগে বলা হয়, এ দুই প্রকল্প থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা প্রথমে বিভিন্ন অলাভজনক (দাতব্য) প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করেন। পরে তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সেগুলো স্থানান্তর করা হয়।