সাইক্লোন, ভূমিকম্প ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চরম ঝুঁকির দিক দিয়ে বিশ্বে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব ঝুঁকি সূচক ২০১১ অনুযায়ী এশিয়ার দেশগুলোর হিসেবে ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয়। এ মহাদেশে এ ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ফিলিপিন্স। বৈশ্বিক বিবেচনায় ফিলিপিন্সের অবস্থান তৃতীয়। সূচকটি যৌথভাবে তৈরি করেছে ইউনাইটেড নেশন্স ইউনিভার্সিটি (ইউএনইউ) ও দ্য ইন্সটিটিউট অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান সিকউিরিটি। সমপ্রতি প্রকাশিত ইউএনডিপির ২০১১ গ্লোবাল অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ার আশঙ্কা, সংবেদনশীলতা, খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা ও অভিযোজন সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে ১৭৩টি দেশের ঝুঁকির অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই মানদ গুলোয় বাংলাদেশ যথাক্রমে ২৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, ৪৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, ৮৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও ৫৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকির সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট পয়েন্ট ১৭ দশমিক ৪৫। দশমিক ০২ পয়েন্ট পাওয়া কাতার সবচেয়ে কম ঝূঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে ৩২ পয়েন্ট পাওয়া দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ ভানুয়াতু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো প্রাকৃতিক ঘটনা দুর্যোগে রূপ নেবে কি না তা নির্ভর করে সরকারের খাপ খাইয়ে নেওয়া ও অভিযোজন ক্ষমতার ওপর। যেসব দেশের অবকাঠামো শক্তিশালী, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা কম। একই দুর্যোগে দুর্বল অবকাঠামোর দেশগুলোতে মৃতের সংখ্যা বেশি। সূচক তৈরির সময় বিবেচনা করা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কতখানি হতে পারে এবং তা জনগণের ক্ষতি করে কিনা; প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণ কতটুকু অসহায় হয়ে পড়ে; প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সমাজ কিভাবে খাপ খাইয়ে নেয় এবং ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রয়েছে কি না?