দেশের ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো কৃষকদের কাছেও তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি এবং মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সমপ্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ফর ডেভেলপমেন্ট ২০১২ : ‘ম্যাক্সিমাইজ মোবাইল শীর্ষক’ গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার চাহিদা এবং মূল্য নির্ধারণে ব্যবসায়ী ও এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ কৃষক বর্তমানে মোবাইল ব্যবহার করছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ কৃষক ফোনের মাধ্যমে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করে থাকে। চীন, ভারত ও ভিয়েতনামের কৃষকরাও একই উদ্দেশ্য মোবাইল ব্যবহার করে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। যেখানে ২০০০ সালে এক বিলিয়ন মানুষ মোবাইল ব্যবহার করত এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ বিলিয়নে। আর এরমধ্যে ৫ বিলিয়নেরই বসবাস হলো উন্নয়নশীল দেশে। সরকার মোবাইল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সেবার মান বৃদ্ধি ও গ্রাহকবান্ধব প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে বাংলাদেশের জনগণ দিনদিন মোবাইলের প্রতি ঝুঁকছে। গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে প্রতিবেদন প্রকাশকালে বিশ্বব্যাংকের টেকসই উন্নয়নবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসেল কাইট বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলো স্বাস্থ্যসেবা, মোবাইলে ক্যাশ পেমেন্ট ও চাকরির সুযোগসহ মানব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নানা ধরনের সুযোগ দিয়ে থাকে। এতে ব্যবহারকারীদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসছে। এর পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তারা নিজেদের যুক্ত করতে পারছে। মোবাইল প্রযুক্তির সব ধরনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারকে আরো উদ্যোগী ভূমিকা পালনের ওপর প্রতিবেদনে জোর দেয়া হয়। বাংলাদেশের আখ চাষীরা আখ বিক্রির ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, এর ফলে মধ্যস্বত্বভোগীর অবসান হচ্ছে। যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।