গত পাঁচ বছরের ঋণখেলাপি প্রমাণিত বা ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি ব্যাংকের আবেদন করতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই শর্তের বেড়াজালেই আটকে যেতে পারে অনেকের নতুন ব্যাংকের প্রত্যাশা।বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এনবিআর চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতটি ব্যাংক দেয়া হবে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
সূত্র জানিয়েছে, নতুন ব্যাংক স্থাপনে ১৭টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এসব শর্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এসব শর্তের একটিতেই আটকে যেতে পারে অনেকের ব্যাংকের লাইসেন্স প্রত্যাশা। এ শর্তে রয়েছে, গত পাঁচ বছরে ঋণখেলাপি হয়েছে অথবা ঋণখেলাপির মামলা বিচারাধীন রয়েছে এমন কোনো ব্যক্তি নতুন ব্যাংকের আবেদন করতে পারবেন না। নানান জল্পনা-কল্পনার অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংক অনুমোদনে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংকের অনুমোদনের ঘোষণার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিল।

নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অন্য শর্তগুলো হলো নতুন ব্যাংক অনুমোদনের জন্য শহর ও গ্রাম ১:১ অনুপাত হারে শাখা খোলার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, ব্যাংকের মোট ঋণের পাঁচ শতাংশ কৃষি খাতে বিতরণ করতে হবে, বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতে ব্যয় করতে হবে বা সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে যে নির্দেশনা দেবে তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে, ব্যাংকে ১৩ জনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, অন্যকোনো ব্যাংক কোম্পানির পরিচালক নতুন ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবে না, বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত হতে হবে, নতুন ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য ৪০০ কোটি টাকার মূলধন থাকতে হবে এবং লাইসেন্স পেলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার তিন বছরের মধ্যে আরো ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে হবে, একজন শেয়ার হোল্ডার সর্বনিম্ন এক কোটি ও সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে পারবে।