বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভণর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, “দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের কোনো সমস্যা না হলে পদ্মা সেতু নির্মানে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারকে আর্থিক সুবিধা দেয়া হবে।”

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর হলে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর এ উদ্যোগের কথা জানান। এ সময় সিনিয়র কনসালটেন্ট এন্ড এ্যাডভাইজার টু গভর্নর মোঃ আল্লাহ মালিক কাজেমী, সিনিয়র ইকোনোমিক এ্যাডভাইজার টু গভর্নর ড. হাসান জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মোঃ আবুল কাসেম, আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, এস.কে. সুর চৌধুরী ও নাজনীন সুলতানা এবং বিশেষ উপদেষ্টা ড.বিরুপাক্ষ পাল সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

গভর্নর বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের ব্যাপারে সহায়তা করে থাকে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সরকার চাইলে প্রয়োজনীয় ডলার সরবরাহের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিশ্চয়ই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।”

আতিউর বলেন, “সরকারের অভিপ্রায় যদি জনস্বার্থে হয় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্যই প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা করবে।”

“কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। পদ্মা সেতু হলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে- এ বিষয়ে কারো কোনো সংশয় নেই। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের মুদ্রানীতিতে ঘোষণা করেছে, “বিশ্বায়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশজ উৎপাদনে বহিঃখাতের অবদান বেড়ে চলেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে বিদেশি মুদ্রার পর্যাপ্ত নিরাপদ মজুদ প্রয়োজন। গত জানুয়ারি মাসে মজুদের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। জুন মাসে তা ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়, যা তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত”