জাতীয় মজুরী ও উৎপাদনশীলতা কমিশন রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের জন্য ৭৫ শতাংশ মজুরী বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এতে ন্যূনতম মজুরী ২ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ৪ হাজার ২৫০ টাকায় উন্নীত হবে।
আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছে কমিশনের চেয়ারম্যান এম মাহে আলম এ প্রস্তাব সম্বলিত রিপোর্ট পেশ করেন। এ সময় কমিশনের সদস্য জাকির উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান রিপোর্টের বিভিন্ন দিক ও নতুন মজুরী কাঠামো সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মুদ্রাস্ফীতির হার বিবেচনা করে মজুরী ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছি।
রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৫ সালের কাঠামোর চেয়ে ৭৫ শতাংশ মজুরী বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে। নতুন বেতন স্কেল তাদেরকে উৎপাদন খাতে ইতিবাচক অবদান রাখতে সহায়তা করবে।
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, উৎপাদনশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন মজুরীর প্রস্তাব করা সম্ভব নয়। কারণ কমিশন শ্রমিকদের কল্যাণ ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তবে তিনি বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ছাড়া প্রতি ৫ বছর পরপর মজুরী বাড়ানো হলে তা আগামীতে শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধিতে সমস্যার সৃষ্টি করবে।
রিপোর্টে বর্ধিত উৎপাদনশীলতার মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প লাভজনক করতে কলকারখানার শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা উভয় ক্ষেত্রে দতা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।
সরকার ২৪ মে ১৭ সদস্যের এই কমিশন গঠন করে। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা যৌক্তিকীকরণে গঠিত এ কমিশন এসব প্রতিষ্ঠানকে বস্ত্র ও পাট, রসায়ন, খাদ্য, সার ও বন শিল্প এবং ইস্পাত ও প্রকৌশল এই তিন ভাগে বিভক্ত করে জরিপ পরিচালনা করে।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পেশের মাধ্যমে আজ কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
রাষ্ট্রপতি সরেজমিন কাজ করে প্রতিবেদন তৈরির জন্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।