সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা সরানোর ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তারাদেরই দায়ী করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার হোটেল রূপসী বাংলায় এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের এই ঋণের ক্ষেত্রে সার্ভিল্যান্সের (তদারকি) যে দায়িত্ব- সেটা ঠিকমতো কাজ করেনি। যার যে দায়িত্ব ছিল সে তা ঠিকমতো পালন করেনি।


‘রোল অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ইন কমব্যাটিং করাপশন’ শীর্ষক ওই গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানও আলোচনায় অংশ নেন।


সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নিরীক্ষায় বলা হয়, কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে নিয়ম ভেঙে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপ দুই হাজার ৬৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ তুলেছে। তাদের সঙ্গে আরো পাঁচটি প্রতিষ্ঠান মিলে তুলেছে মোট তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।


ঋণ দেয়ায় অনিয়মের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের প্রায় ২০ জন কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে তদন্তও শুরু হয়েছে। এই ঋণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ারও সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা নিয়ে মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। অর্থ কেলেঙ্কারির এই ঘটনা দেশের সংবাদমাধ্যমেও বেশ গুরুত্ব পায়।


এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, আমরা মোট ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিই। এর মধ্যে চার হাজার কোটি টাকা নিয়ে মিডিয়ায় যেভাবে প্রচারণা চলছে তাতে সমগ্র ব্যাংকিং সেক্টর নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে দুর্নীতির বিচার হওয়ার ঘটনা খুবই কম। এর অন্যতম কারণ সাক্ষীর অভাব।