বার্জার পেইন্ট প্রাচীনতম রংয়ের অন্যতম। রংয়ের দুনিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তিতে অন্যদের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে। আবাসনের ভেতর এবং বাইরের সজ্জায় সর্বদা আনে অনিন্দ্য সৌন্দর্য। ২৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যের সঙ্গে বসবাস করছে লোকালয়ে। ১৭৬০ সালে লুই বার্জারের নামকরণে ইংল্যান্ডে এ ব্যবসার শুরু হয়।

বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতার পর। কয়েক দশক ধরে দৃঢ় ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে এর উত্পন্নজাত রং পৌঁছে গেছে এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আর এটি সম্ভব হয়েছে সারা দেশে আটটি সরবরাহ কেন্দ্রের নিরলস তত্পরতার কারণে। এই সরবরাহ কেন্দ্রগুলো হল ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিদিন পূরণ করা হচ্ছে দেশের রংয়ের চাহিদা ।

কল্পনার সব রং
এ যেন এক আশ্চর্য যন্ত্র! যেখানে চলে রংয়ের লুকোচুরি খেলা। মনে হয় কল্পনার সব রং এ যন্ত্রের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। যন্ত্রটির নাম বার্জার কালারব্যাংক। এই ব্যাংক জাদু-কল্পনার যে রংটি রয়েছে আপনার মনে, ঠিক সেই রংটি বাস্তবে মিলিয়ে দেবে আপনার হাতে। যেমন রং চাইবেন কম্পিউটারাইজড মেশিন তেমন শেড এনে দেবে। কালারব্যাংকে রয়েছে টিনটোভিশন সফটওয়্যার সুবিধা। এর ফলে কম্পিউটারের পর্দায় দেখতে পাবেন অসংখ্য শেডের বিন্যাস।

কম্পিউটার পর্দায় পছন্দ করা শেডটি বাস্তব জীবনে আপনার ঘরের ভেতর এবং বাইরের দেয়ালে কেমন লাগবে তাও পরখ করে নিতে পারেন। কীভাবে একটি কম্পিউটারাইজড মেশিন কল্পনার বিস্ময়কর রং তৈরি করতে পারে, নির্বাচন করতে পারে যে কারও স্বপ্নের রং, দিতে পারে কম্পিউটারাইজড রং প্রেসক্রিপশন ও সমাধান, আর উত্পাদিত রং হয় সিসামুক্ত ও পরিবেশবান্ধব?-সব প্রশ্নের সমাধান বার্জার কালারব্যাংকেই।

৫ মিনিটে এক কন্টেইনার ফ্রেশ রং
অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বার্জারের কালারব্যাংক চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। কম্পিউটারাইজড মেশিনে বিভিন্ন অনুপাতে কালারেন্ট মিশিয়ে যে কারও স্বপ্নের রংয়ের শেড তৈরি করতে পারে। এভাবে কালারব্যাংকের মাধ্যমে যে কোনো গ্রাহক ৫ মিনিটেই বেছে নিতে পারেন তার পছন্দের চমত্কার শেডটি।

৫ হাজারেরও বেশি শেড
স্বপ্নের বাড়িকে সৌন্দর্যের রংয়ে রাঙাতে কালারব্যাংকের জুড়ি নেই। কালারব্যাংকে আছে ৫ হাজারেরও বেশি শেড। হালকা থেকে গাঢ়, উজ্জ্বল থেকে ম্যাট-সব ধরনের রং উত্পাদন করার ক্ষমতা আছে তার। কালারব্যাংকের রংয়ে আপনার স্বপ্নের বাড়ি এমনকি আসবাবপত্রও হয়ে উঠতে পারে নান্দনিকতায় চোখ জুড়ানো সৌন্দর্যের অধিকারী।
  
আবাসনের ভেতর ও বাইরে
আবাসনের ভেতর এবং বাইরে দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য আনতে বার্জার উত্পাদন করছে হরেক রকম রং। কোন পদার্থে কোন মানের রং ব্যবহার করতে হবে এমন আঙ্গিকে বাজারজাত করছে সেই গুণগত মানের রং।
 
কোম্পানির দেওয়া তথ্যানুযায়ী তাদের বর্তমান ব্র্যান্ডগুলো-

ইন্টেরিয়র

কনক্রিট : ব্যবহারযোগ্য ব্র্যান্ডগুলো হল-রবিয়াল্যাক অ্যাক্রেলিক ইমালশন, রবিয়াল্যাক ইজি ক্লিন, রবিয়াল্যাক অ্যাক্রেলিক প্লাস্টিক ইমালশন ক্লাসিক, লাক্সারি সিল্ক ইমালশন, লাক্সারি সিল্ক স্প্লেন্ডর, রবিয়াল্যাক অ্যাক্রেলিক ডিসটেম্পার এসপিডি, রবিয়াল্যাক এসপিডি সুপার, রবিয়াল্যাক অ্যাক্রেলিক ইন্টেরিয়র ইমালশন, রবিয়াল্যাক প্লাসট্রন সিলার, রবিয়াল্যাক ওয়াটার সিলার, রবিয়াল্যাক ওয়ালপাটি,

রবিয়াল্যাক ড্যাম্প স্টপ, ওয়াচার বেইজড স্টেইনার, ব্রেথ ইজি সিলার, ব্রেথ ইজি পাটি, ব্রেথ ইজি প্রিমিয়াম ইন্টেরিয়র ইমালশন।

সিরামিক ব্রিক : সিলিকন ওয়াটার রিপিল্যান্ট।

মেটাল : রবিয়াল্যাক সিনথেটিক এনামেল, রবিয়াল্যাক সিনথেটিক এনামেল গোল্ড, ঝিলিক সিনথেটিক এনামেল, অ্যালুমিনিয়াম, রেড অক্সাইড প্রিমিয়ার, রবিয়াল্যাক এন্টিক্রসিভ রেড অক্সাইড প্রিমিয়ার, রবিয়াল্যাক থিনার।

উড/ব্যামবো : রবিয়াল্যাক সিনথেটিক এনামেল, রবিয়াল্যাক সিনথেটিক এনামেল গোল্ড, ঝিলিক সিনথেটিক এনামেল, রবিয়াল্যাক ওয়াটার সিলার, রবিয়াল্যাক সিনথেটিক ক্লিয়ার বার্নিশ, উড কিপার ফিনিশ, উড কিপার রবিয়াল্যাক থিনার।

এক্সটেরিয়র

কনক্রিট : রবিয়াল্যাক এক্সটেরিয়র ওয়ালপাটি, রবিয়াল্যাক ড্যাম্প স্টপ, ফ্লেক্সিবল রুফিং কম্পাউন্ড, ওয়াটার কোট স্মুথ, ওয়াটার কোট লংলাইফ, ওয়াটার কোট স্মুথ ক্লাসিক, রেডিয়েন্স এক্সটেরিয়র ইমালশন, ডুরোসেম।

সিরামিক ব্রিক : সিলিকন ওয়াটার রিপিল্যান্ট।

মেটাল : রবিয়াল্যাক সিনথেটিক এনামেল, রবিয়াল্যাক সিনথেটিক এনামেল গোল্ড, ঝিলিক সিনথেটিক এনামেল, অটো কোট প্রিমিয়ার সারফেসার, অ্যালুমিনিয়াম, রেড অক্সাইড প্রিমিয়ার, রবিয়াল্যাক এন্টিক্রসিভ রেড অক্সাইড প্রিমিয়ার, রবিয়াল্যাক থিনার।

উড/ব্যামবো : রবিয়াল্যাক সিনথেটিক এনামেল, রবিয়াল্যাক সিনথেটিক এনামেল গোল্ড, ঝিলিক সিনথেটিক এনামেল, রবিয়াল্যাক থিনার।