অবশেষে অলিম্পিক ফুটবলের সোনা জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছতে পারল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল।

অন্যদিকে, প্রথম সেমিফাইনালে জাপানকে মেক্সিকো হারায় ৩-১ গোলে। এখন অলিম্পিক সোনা জয়ের লড়াইয়ে দুই ল্যাটিন আমেরিকান দেশ ব্রাজিল-মেক্সিকো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।

লিওনার্দো ড্যামিও ২ গোল ও রোমুলোর ১ গোল করে ব্রাজিলকে এই ঐতিহাসিক জয় এনে দেন। কালকের দুই গোলে ড্যামিওর গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬-এ। এবারের অলিম্পিক ফুটবলে শীর্ষ গোলদাতা তিনিই।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালের শুরুতে ব্রাজিলকে চমকে দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথম ২০ মিনিট ব্রাজিলের রক্ষণভাগকে বেশ ব্যস্ত রাখে এশিয়ার দলটি।

এরপর অবশ্য খেলার চিত্র পাল্টে যায়। মাঝ মাঠ দখলে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণভাগের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে দক্ষিণ আমেরিকার দলটি। ফল পেতেও বেশি দেরি হয় নি, ৩৮ মিনিটে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন রোমুলো।
এর পরের সময়গুলো অবশ্য একেবারেই লিওনার্দো ড্যামিওর নিজের। ৫৭ ও ৬৪ মিনিটে ড্যামিও আরও দুটি গোল করে দক্ষিণ কোরিয়াকে খেলা থেকে একেবারে ছিটকে ফেলেন।

কাল দুই দলই পরিবর্তন এনেছিল নিজেদের একাদশে। হালকের পরিবর্তে আলেক্স সান্দ্রোকে খেলিয়েছে ব্রাজিল। দক্ষিণ কোরিয়াও চোটগ্রস্ত জাং সুং-রিয়ং ও কিম চ্যাং সুয়ের পরিবর্তে মাঠে নামিয়েছিল লি বিওম-ইয়ং ও ওহ জা সিওককে।
অলিম্পিক ফাইনালে এর আগে তিনবার উঠেছে ব্রাজিল। তিনবারই তাদের রুপার পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
আরেক সেমিফাইনালে জাপানকে মেক্সিকো হারায় ৩-১ গোলে। জাপানের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। ১২ মিনিটে ইউকি অটসোর গোলে এগিয়ে যায় এশিয়ার দেশটি। ৩১ মিনিটে মার্কো ফ্যাবিয়ানের গোলে সমতা ফেরায় মেক্সিকো।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে অরিব পেরালটার গোলে এগিয়ে যায় মেক্সিকো। পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে জাপান। তাদের হতাশ করে অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ব্যবধান আরো বাড়ান হাভিয়ার কর্টেজ।