বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করেছে আরব আমিরাতের ক্লাব আল ওয়াসাল। ৫১ বছর বয়সী ম্যারাডোনা ২০১১ সালের মে মাসে আল ওয়াসালের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে ফুটবল কোচ হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু মঙ্গলবার ক্লাবের এক বৈঠতে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ক্লাবটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আল ওয়াসাল ফুটবল কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর বৈঠকে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে থাকা কোম্পানির টেকনিক্যাল স্টাফদের মূল্যায়ন করা হয়। আর এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও তার টেকনিক্যাল স্টাফদের বরখাস্ত করা হবে।”

ধারণা করা হয় হয়, গত জুনে ক্লাবটির বোর্ড পদত্যাগ করার পর নতুন বোর্ড গঠন করার মধ্যদিয়েই কোচ হিসেবে ম্যারাডোনার সময় সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। যদিও নতুন বোর্ডের প্রথম বৈঠকে এর চেয়ারম্যান ড. মোহামেদ আহমাদ বিন ফাহাদকে উদ্ধৃত করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদপত্র ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছিল, “ম্যারাডোনা আল ওয়াসালের প্রধান কোচ। তিনি আগামী মৌসুম পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালন করবেন। তার অবস্থানের কোনো হেরফের হবে না।”

ম্যারাডোনার কোচিং-এ আল ওয়াসালের পারফরমেন্স খুবই করুন। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রো লিগে আল ওয়াসাল ১২ দলের মধ্যে অষ্টম স্থানে নেমে যায়। এর আগের বারই দলটির অবস্থান ছিল ষষ্ঠ।

গালফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বাহরাইনের আল মুহারÍাকের কাছে হেরে যায় আল ওয়াসাল। অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন টুর্নামেন্টেও তাদের সাফল্য খুব কম।

কোচ হিসেবে ম্যারাডোনার অবস্থা খেলোয়ার ম্যারাডোনার ঠিক বিপরীত। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করে। নিজ দেশ ছাড়াও ইতালি, স্পেনের ক্লাব পর্যায়েও ম্যারাডোনা খেলোয়াড় হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন। কিন্তু কোচ হিসেবে সেসব অর্জনের কাছেও পৌঁছুতে পারেন নি তিনি।

আর্জেন্টিনার জাতীয় দলেরও কোচ ছিলেন ম্যারাডোনা। ২০১০ সালে বিশ্বকাপে তার কোচিং-এ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা এবং জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়।

তবে বরখাস্ত হওয়ার পর ম্যারাডোনা কোথায় আছেন কিংবা এ ব্যাপারে তার কোনো প্রতিক্রিয়া জানাও সম্ভব হয়নি।