রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও শ্রমিকদের সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। পুলিশ ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে একজন আহত হয়েছেন।

এছাড়া সমাবেশে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পল্টন এলাকায় গাড়ি ভাংচুর করেছে সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের হাতে ৪ জন আটক হয়েছেন।

১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সিএনজি চালক ও শ্রমিকদের ডাকে চলমান ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।

সমাবেশ করতে সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা একটি মিছিলসসহ প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। এ সময় শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক শহিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের সমাবেশ করতে বাধা দেন। সিএনজি চালক- শ্রমিকরা বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় সিএনজি চালকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জও করে।

পুলিশের লাঠিচার্জে ঢাকা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকন রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে পড়ে। হানিফ খোকনকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অপরদিকে পুলিশ অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক চাঁন মিয়াকে আটক করে গাড়িতে তুলে নেয়। ১৫ মিনিট তাকে আটকে রাখার পর আবার ছেড়ে দেয়।

এ প্রসঙ্গে শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক শহিদ চৌধুরী বলেন, “আমরা কারো ওপর লাঠিচার্জ করিনি। প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করার মতো কোনো জায়গা খালি নেই। সেজন্য তাদের চলে যেতে বলেছি। এ সময় নিজেদের ধাক্কাধাক্কিতে একজন পড়ে গিয়ে আহত হন। কাউকে আমরা আটক করেও রাখিনি।”

এদিকে ছত্রভঙ্গ অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের উল্টোদিকের সড়কে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভা করেন। সভায় অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সরদার মো. সোবহান ও ঢাকা জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল হক মুক্ত বক্তব্য দেন। এ সময় উত্তেজিত অটোরিক্সার চালক ও শ্রমিকরা ১০ দফা দাবি আদায়ে স্লোগান দেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বেলা পৌনে ১২ টায় পল্টন মোড়ে গেলে বিক্ষুদ্ধ সিএনজি চালকরা গাড়ি ভাংচুরে জড়িয়ে পড়ে। গাড়ি ভাংচুর করার সময় পুলিশ হাতেনাতে  আক্তার হোসেন (৩০), নাজমুল হোসেন (৩০), আবুল কালাম আজাদ (৩৫) ও নজরুল ইসলাম (৩৫) কে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানায় পুলিশ।

এদিকে অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা তাদের দাবি আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারকৃত সিএনজি চালকদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার হুমকি দেয়।