ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে নৌ-পথে ঘরমুখো বাড়তি যাত্রীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ৬টি স্টিমার সার্ভিস ও ২টি বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু থাকবে। এছাড়া ২০ অক্টোবর থেকে ঈদের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে। ঈদের ১০ দিনএবং পরের ১০ দিন এ সার্ভিসচালু থাকবে। এছাড়া এ বছর লঞ্চের যাত্রীদের ১০ শতাংশ ভাড়া ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ) আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. মো. শামছুদ্দোহা খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সুষ্ঠু ও নিরাপদ নৌ-পরিবহন ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি জানান, ৬টি স্টিমার সার্ভিস ২২ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। আবার ঈদের পর ফিরতি যাত্রীদের ঢাকায় ফেরার কাজে নিয়োজিত থাকবে। যতোক্ষণ পর্যন্ত যাত্রী পাওয়া যাবে ততোক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীসেবায় স্টিমার ও লঞ্চগুলো চলাচলকরবে। প্রতিটি স্টীমার ১ হাজার লঞ্চগুলো দেড় হাজার করে যাত্রী বহন করতে পারবেবলেও তিনি জানান। সভায় জানানো হয়, ঈদকে সামনে রেখে কীর্তনখোলা-২ ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। পারবত-৯ শিগগিরই চালু হবে,যাতে করে সবাই ঈদে নিরাপদেযাতায়াত করতে পারেন। ড. মো.শামছুদ্দোহা খন্দকারবলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট ফেরি পারাপার স্বাভাবিক রাখার জন্য খনন কাজ চলছে। এদিকে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে যাত্রীসেবার জন্য ১০ শতাংশ ভাড়া ছাড় দেওয়া হয়েছে। নৌ-পথে যেসব যাত্রী ৫০ কিলোমিটারের অধিক পথ পাড়ি দেবেন, তাদেরজন্যই ১০ শতাংশ ভাড়া ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের মোট লঞ্চ রয়েছে ৫৮টি। এবারআরো বাড়তি ২টি যোগ হবে। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. মো.শামছুদ্দোহা খন্দকারেরসভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএ’র সচিব মো: শহিদুল্লাহসহ, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, লঞ্চমালিক, কার্গো মালিক,পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা।