ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা, সানিয়াজান ও সতী নদীর পানি অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।  

গত তিনদিনের বৃষ্টির পাশাপাশি তিস্তা, সানিয়াজান ও সতী নদীর পানিতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গরপোতা- দহগ্রামের চর, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, ধুবনী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালিগঞ্চ উপজেলার পশ্চিম কাশিরাম, চর বৈরাতী , নোহালী চর, শৈলমারী চর, ভোটমারী চর, হাজিরহাট চর, আমিনগঞ্জ চর, কাঞ্চনশ্বর চর ও রম্নদ্ধেশ্বর চর, আদিতমারী উপজেলার চন্ডমারী, দক্ষিণ বালাপাড়া, আরাজি শালপাড়া, চরগুপ্তধন ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছা, রাজপুর, তিসত্মা, তাজপুর, গোকুন্ডা, মোগলহাট, বানগ্রাম, বানমারীসহ নদীর তীরবর্তী প্রায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া রোপা আমন, বাদামসহ বিভিন্ন ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ কাঁচা রাস্তা ভেঙে গেছে।

 

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও যুগ্নসচিব মোখলেছার রহমান সরকার জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতির নিয়মিত খবর নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রাথমিক ভাবে প্রস্ত্ততি নেয়া হয়েছে।