চলমান ছাটাইয়ের প্রক্রিয়ায় ২শ’সহ গ্রামীণফোনের মোট ২২শ’ কর্মী চাকরি হারাতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ পরিস্থিতিতে গ্রামীণফোনের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা এই অবৈধ ও অস্বচ্ছ ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানের গ্রামীণফোন ভবনের সামনে বুধবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
সকাল ১০টা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষুব্ধ অর্ধশতাধিক কর্মী বারিধারা-বসুন্ধরায় গ্রামীণফোন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এ কারণে গ্রামীণফোনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় বলে জানা গেছে।
গ্রামীণফোনের বিভিন্ন সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ভেতরে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। ভবনের বাইরে থেকে জানালাপথে সে ধরণের অবস্থা চাক্ষুষ করা গেছে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে ম্যানেজার (ডিস্ট্রিবিউশন) হাবিবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, “গ্রামীণফোণে সম্পূর্ণ অবৈধ, অস্বচ্ছ ও গোপনে কর্মী ছাঁটাই করছে। আমরা এর আগেও প্রতিবাদ করেছি। এখনও করছি। ছাঁটাই বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার কারণ দর্শানো বা নোটিশ ছাড়াই ছাঁটাই করছে। শুধু প্রশাসন থেকে ফোন দিয়ে অফিসে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন থেকে এভাবে ফোন দিয়ে অফিসে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে।”
হাবিবুল আলম বলেন, “সম্প্রতি ৭০ জনের বেশি কর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছে। দুই শতাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া আছে এবং শোনা যাচ্ছে আরও দুই হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, “সাপ্তাহিক সাধারণ মিটিংয়ে পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কর্মীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধ্য করা হয়।”
তিনি বলেন, “আমাদের দাবি ছিল যদি পরীক্ষা নিতেই হয় তাহলে স্বপদে রেখে আগে থেকে আমাদের লিখিতভাবে জানানো হোক। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো দাবি মেনে নেয়নি। বরং অবৈধ ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে।”
আন্দোলনরত কর্মীরা এসময় ৬ দফা দাবির কথা বলেছেন। এগুলো হচ্ছে, অবিলম্বে অবৈধ ও অস্বচ্ছ ছাঁটাই প্রক্রিয়া বন্ধ করা; ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অবসর পর্যন্ত বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া; অন্যায় ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় জড়িত প্রধান জনশক্তি (এইচআর) কর্মকর্তাসহ সব ষড়যন্ত্রকারীর বিচারের আওতায় আনা; মূদ্রাস্ফীতি সাপেক্ষে চলতি বছরের বেতন বৃদ্ধির হার বিবেচনা করা; কর্মীদের ন্যায্য পাওনা ৫ শতাংশ মুনাফাসহ সব সুবিধা প্রদান এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণকারী কর্মীদের উপযুক্ত পারিতোষিক প্রদান করা।