উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে ঘিরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের’ শিক্ষকদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে তাদেও কর্মবিরতি অভ্যাহত রয়েছে।
পূর্ব কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার কর্মবিরতিসহ সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছেন ‘সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
পূর্বের ন্যায় বুধবার সকাল ৭টায় আন্দোলনকারী সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকরা বিভিন্ন অনুষদ ভবনে গিয়ে ক্লাস রুমে তালা খুলতে নিষেধ করেন কর্মচারীদের। প্রশসিনিক ভবনের তালাও খুলতে দেয়া হয়নি। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের দুই রাস্তায় শিক্ষকরা বসে ভবন অবরোধ করে রাখেন।
শিক্ষকদের ধর্মঘটের ফলে অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টের ১৯(১) ক ধারা অনুযায়ী অবিলম্বে ৫ জন জাকসু প্রতিনিধি নির্বাচন এবং অ্যাক্টের ১৯(১) ই, ১৯(১) এফ, ১৯(১) জি, ১৯(১) আই ধারা অনুযায়ী যে সব সিনেট সদস্যের মেয়াদ ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে, সে সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে সবার জন্য নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার পর উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছেন।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন স্থগিত করার দাবি যুক্তিযুক্ত নয়। আগামী ২০ জুলাই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হবেই। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ১৯(২) ধারা অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ সদস্যদের স্থলে পরবর্তী ‘সাকসেসর’ না আসা পর্যন্ত পূর্ববর্তী সদস্যদের মেয়াদ বহাল আছে। সুতরাং বর্তমান সিনেট সদস্যদের দিয়ে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
উল্লেখ্য, আগামী ২০ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বিশেষ সভা আহবান করা হয়েছে। এ সভায় ‘তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল’ মনোনয়নের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০০৪ সালে সর্বশেষ জাবিতে ‘তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল’ মনোনয়নের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
শিক্ষকদের পরবর্তী কর্মসূচির বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ও অনশন।