মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আসন্ন ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ১০টি করে মোট ২০টি পশুরহাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হাট (গাবতলী) স্থায়ী এবং বাকি ১৯টি অস্থায়ী।
কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণেও বিশদ কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার ঈদে বর্জ্য অপসারণে ১৩ হাজার ৫৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকবেন এবং ৩শ’র অধিক বর্জ্য পরিবহন ট্রাক থাকবে। ঈদের দিন থেকে টানা তিনদিন বর্জ্য অপসারণের কাজ চলবে। এ কারণে দুই সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এবার হাট থেকে কোরবানির পশু কেনার সময় সকল ক্রেতাকে বাধ্যতামূলকভাবে একটি থলে ক্রয় করতে হবে। এর মূল্য হবে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। এতে প্রায় ৪০ কেজি বর্জ্য রাখা যাবে। নগরবাসীকে যেখানে-সেখানে বর্জ্য না ফেলে এই ব্যাগের ভেতর রাখার ফেলার আহবান জানানো হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন গাবতলী, উত্তরা আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা, তালতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা, আগারগাঁও বস্তির খালি জায়গা, বনানী-কাকলী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, বারিধারা জে ব্লকের (সাবেক নুরের চালা) রাস্তার পাশের খালি জায়গা, মিরপুর ৬ নং সেকশনের ৬ নং ওয়ার্ডের (সাবেক ওয়ার্ড ৯২) ইস্টার্ন হাউজিং-এর খালি জায়গা ও উত্তরা ১১ নং সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ সংলগ্ন খালি জায়গায় কোরবানির পশুর হাট বসবে।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মেরাদিয়া বাজার, উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘের মাঠ, গোপীবাগে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব সংলগ্ন বালুর মাঠ, ঝিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, লালবাগে রহমতগঞ্জ ক্লাবের খেলার মাঠ, আরমানিটোলা খেলার মাঠ, সাদেক হোসেন খোকা মাঠ, গোলাববাগ মাঠের পাশে সিটি কর্পোরেশনের আদর্শ স্কুল মাঠ ও আশ-পাশের খালি জায়গা, ধূপখোলার ইস্ট অ্যান্ড ক্লাবের মাঠ ও পোস্তাগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গায় এবারের কোরবানির পশুর হাট বসবে।