নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চায়না৷ আগামী ৩০শে অক্টোবর ভোট গ্রহণ করা হবে৷

১৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা জানান, কমিশন তার নিজস্ব কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার করে আরো ৯ জন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিয়ে এই নির্বাচন পরিচালনা করবে৷ প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটসহ থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইচ্ছা নেই কমিশনের৷ তিনি জানান, ২রা অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে৷

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, প্রার্থীরা কোনরকম শো-ডাউন করে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেনা৷ মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে ঘরোয়া মিটিং আর পথসভা করা যাবে৷ আর নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করলে কমিশন প্রার্থিতা বাতিলের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷নরায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ড. এটিএম শামসুল হুদা জানান, এরজন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হবে৷ আর ভোট গণনার সময় প্রার্থীর মনোনীত এজেন্ট ছাড়া কোন রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালী কেউ থাকতে পারবেন না কেন্দ্রের ভিতরে৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো জানান, প্রশাসন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রভাবিত করছে এমন কোন অভিযোগ উঠলে প্রশাসনে রদবদলের কথা ভাববে কমিশন৷

এদিকে বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন৷ তারা ভোটারদের দোয়া নেয়া শুরু করছেন৷