হুমায়ূন আহমেদের আত্মার শান্তি কামনায় তার সমাধিস্থল নুহাশ পল্লীতে বুধবার মিলাদ ও ইফতার মাহফিল হয়েছে।

এতে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন নুহাশ পল্লীর কর্মীরাসহ আশপাশের এলাকার মানুষও।

প্রয়াত লেখকের কোনো ভাই কিংবা তার সাবেক স্ত্রীর সন্তানরা কেউ ছিলেন না। তবে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শাওনের বাবা মোহাম্মদ আলী।

নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদকে মঙ্গলবার তার হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতে সমাহিত করা হয়। শাওন ও তার পরিবারের সদস্যরা নুহাশ পল্লীতে রয়েছেন।

মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার ভোরে ফজরের নামাজের পর শাওন তার ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে কবর জিয়রত করে। দিনব্যাপী কুরআন তিলওয়াত ও দোয়া হয়।

প্রিয় লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে বুধবারও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্ত ও অনুরাগীরা আসেন। সমাধিস্থলে ফুলও দেন তারা।

বিকালে ‘বৃষ্টি বিলাস’ বাংলোর সামনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়। দোয়া পরিচালনা করেন স্থানীয় মৌলভী সেকান্দার আলী। এরপর ইফতারে অংশ নেন ৫ শতাধিক ব্যক্তি।

নুহাশ পল্লীর কর্মীরা জানান, মঙ্গলবার দাফনের পর রাতে হুমায়ূন আহমেদের কবরের পাশে সারারাত একটি হারিকেন জ্বালিয়ে রাখা হয়।

স্বামীর লাশ নিয়ে দেশে ফেরার পর শাওন ওঠেন লেখকের বাড়ি ধানমণ্ডির দখিন হাওয়ায়। এরপর দাফনের সময় নুহাশ পল্লীতে আসেন তিনি।

শাওন নুহাশ পল্লীতে কতদিন থাকবেন- জানতে চাইলে তার বাবা বলেন, “যতদিন শাওনের মনে চায়, ততদিন থাকবে। এটা তার নিজের ব্যাপার।”

নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, শাওন আরো কয়েকদিন নুহাশ পল্লীতে থাকবেন।

৪০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা নুহাশ পল্লীতে বেশ কয়েকটি বাংলো রয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে নুহাশ পল্লীতে শাওনের সঙ্গে ছিলেন তার বাবা মোহাম্মদ আলী, মা সংসদ সদস্য তহুরা আলী, বোন সেঁজুতিসহ নিকটাত্মীয়রা।

এছাড়াও ছিলেন হুমায়ূনের বইয়ের প্রকাশক মাজাহারুল ইসলামের স্ত্রী স্বর্ণা, তাদের দুই সন্তান অমি ও অনয়, অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ ও তার ছেলে জিয়াস।

দাফনের সময় থেকে নুহাশ পল্লীতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৬/৭ জন পুলিশ সদস্য আরো কয়েকদিন মোতায়েন থাকবে।