বাংলাদেশ সরকার বলছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন প্রশ্নে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দ্রুত একটা সমাধানে আসা সম্ভব হতে পারে। এ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সব শর্ত পূরণের কথা উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আলোচনা চালানোর কথা বলে আসছিল। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিবিসিকে বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সেই আলোচনা একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে তারা মনে করছেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাংক যাতে পুনর্বিবেচনা করে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার সভাপতি ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন। এখন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিশ্বব্যাংকে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আশা প্রকাশ করেছেন, বিষয়টিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দ্রুত একটা সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের দুটি শর্ত না মানার কথা উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করেছিল। তখন সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সরকার পরে এসব শর্ত মেনে নেয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। এদিকে মালয়েশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের একটি দল পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব নিয়ে ঢাকায় আসছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, অর্থায়নের বিভিন্ন উপায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়াতেই মালয়েশিয়ার প্রস্তাবও সরকার পর্যালোচনা করে দেখবে।
আজ ‘সর্বশেষ পরিস্থিতি’ জানাবেন মুহিত : বিডিনিউজ গতকাল জানায়, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন অর্থমন্ত্রী। আজ দুপুর ২টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রীর কার্যসূচিতে জানানো হয়েছে।