সাভারের হেমায়েতপুরে গত কয়েকদিন ধরে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা হলমার্ক গ্রুপের শ্রমিকরা  রোববার সকাল ১০টার দিকে কারখানায় এসে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে কারখানার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।  এরপর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

কিছুক্ষণ পর কয়েক হাজার শ্রমিক ঢাকা-আরিচা সড়ক অবরোধ করার জন্য মিছিল বের করলে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়কে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছুড়তে শুরু করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সাভার শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আবদুল বাতেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছুড়তে হয়েছে।

এতে অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।

পুলিশের পিটুনিতে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও হলমার্কের শ্রমিকদের বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়ক ও হলমার্ক কারখানার সামনে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও মহা ব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ সোনালী ব্যাংক থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ নেয়ার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় এ কারখানার শ্রমিকরা গত মাসের বকেয়া বেতন পাননি। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরেই তারা কারখানার সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন।

পুলিশ গত বৃহস্পতিবার কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও এখানো পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।

একই দাবিতে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক গত বৃহস্পতিবার সকালেও কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে সাভার থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা কারখানায় ঢুকে শ্রমিকদের বের করে দিয়ে হলমার্ক গ্রুপের ৭৫ টি কারখানার নিয়ন্ত্রণ নেয়।