বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় কোরবানির গরু কিনতে এসে ২০লাখ ১০ হাজার টাকা খোয়া গেল কুমিল্লার ২ গরু ব্যবসায়ীর। প্রতারণার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত গরু ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুপচাঁচিয়া থানায় এ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে, পুলিশ এর আগেই ২ গরু ব্যবসায়ীর আশ্রয়দাতা দুপচাঁচিয়া উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী উজ্জ্বল প্রামানিকের (৪০) স্ত্রী আকলিমা বেগমকে (৩৫) আটক করে। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায়। প্রতারণার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত গরু ব্যবসায়ীরা হলেন- কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার নগরী পাড়ার কামাল হোসেন (৩২) ও চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার পশ্চিম বাথুয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন সওদাগর (৩০)। দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি মণ্ডলসহ স্থানীয়রা কুমিল্লা থেকে আগত ব্যবসায়ীদের টাকা খোয়া যাওয়ার কথা স্বীকার করে বি এন এন ২৪ ডট কমকে জানান, উজ্জ্বলকে আটক করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছেন। দুপচাঁচিয়া থানার ওসি নুর ইসলাম রাত পৌনে ৭টার দিকে মামলা নথিভুক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে বি এন এন ২৪ডট কমকে জানান, গরু কেনার উদ্দেশ্যে ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার ২ গরু ব্যবসায়ী স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী উজ্জ্বল প্রামানিকের (৪০) এর বাড়িতে আসেন। পরদিন রোববার তারা দুপচাঁচিয়া ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ২০ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলেনিয়ে উজ্জ্বলের সঙ্গে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার সুতির হাটে গরু কিনতে যান। হাটে পছন্দসই গরু না পেয়ে নগদ টাকাসহ রাতে উজ্জ্বলের বাড়িতে ফিরে আসেন। ফিরে এসে গরু কেনার জন্য নেওয়া ২০ লাখ ১০ হাজার টাকা উজ্জ্বলের হাতে দিয়ে তারা একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সুযোগ বুঝে বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের ঘরে তালা দিয়ে রাতেই টাকাসহ উজ্জ্বল পালিয়ে যান। পরদিন সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজায় বাইরেথেকে তালা দেওয়া বুঝতে পেরে ব্যবসায়ীরা চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে কুমিল্লা থেকে আসা ২ গুরু ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন। এরপর ব্যবসায়ীরা স্থানীয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে থানায়অভিযোগ করেন।