বিমানবাহিনীর নিরাপত্তার স্বার্থে বিকল্প রুটে নির্মিত হচ্ছে বহুল আলোচিত মেট্রো রেল। এদিকে গতকাল শুক্রবার যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন বলেছেন, এ সরকারের আমলেই মেট্রো রেল চালু করা হবে।

এর আগে জাইকার একটি প্রতিনিধি দল যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সাত দিনের মধ্যে মেট্রো রেলের রুট চূড়ান্ত করার তাগিদ দেয়। এক পর্যায়ে তারা সাত দিনের মধ্যে রুট চূড়ান্ত করা না হলে প্রকল্পটি তাদের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দেয়। এর পর থেকেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মেট্রো রেল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কেটে গেছে। নতুন রুট নিয়ে জাইকার কোনো আপত্তি নেই। আগের রুটে সামান্য পরিবর্তন করতে হবে। এতে খুব একটা সমস্যা হবে না। আশা করছি, শিগগির প্রকল্পটির কাজ শুরু করা যাবে। কাজ শুরু হলে দেড় বছরের মধ্যে তা শেষ হবে।

যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন বলেন, ‘সংসদ ভবনের পূর্ব পাশের খেজুরবাগানের পাশ দিয়ে নতুন রুট অর্থমন্ত্রীসহ আমরা সরেজমিন দেখেছি। এ রুটটি নিয়ে জাইকার কোনো আপত্তি নেই। চেষ্টা করা হবে ফুটপাত দিয়ে রুটটি নিয়ে যাওয়ার জন্য, যাতে সংসদ ভবনের জায়গায় যেতে না হয়। কোনোভাবে তা সম্ভব না হলে সংসদ ভবনের জায়গায় খুব বেশি হলে দুটি পিলার বসতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রো রেলপথটি তিনটি ধাপে উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। প্রথম পর্যায়ে পল্লবী থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক । পরে উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত এবং সব শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত। এখন আমরা রুটটি উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি। জাইকাও এতে সায় দিয়েছে। এসব বিষয় জাইকার বিশেষজ্ঞরা আসার পর চূড়ান্ত হবে।’