বেনাপোলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানা কম্পাউন্ডে এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন, শার্শা থানা ছ্ত্রালীগের সভাপতি প্রার্থী বেনাপোল বড়আঁচড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আবু খালিদ (২৫) ও একই এলাকার ছ্ত্রালীগ নেতা করিম গাজির ছেলে আইয়ুব আলী(২২)।
বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের নেতা খালিদ সোমবার তার মোবাইল ফোনে একটি মেসেজ পাঠান। ম্যাসেজে লেখা ছিল ‘দারোগা মতিয়ার তুই আমার শত্রু। তুই আমার পেছনে লেগেছিস। তোর খবর আছে। তোকে আমি দেখে নেব। আমি শার্শা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী খালিদ’।
ওই মেসেজ পেয়ে সোমবার রাতে খালিদের বাড়িতে পুলিশ যায়। খালিদের বাবা আব্দুর রহমানকে ঘটনার বিস্তারিত জানানো হলে তিনি জানান, তার ছেলে নষ্ট হয়ে গেছে। ছেলের ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না।
এসআই মতিয়ার জানান, বাড়িতে পুলিশ গেছে শুনে মঙ্গলবার সকালে খালিদ ও ছাত্রলীগের নেতা আইয়ু আলী থানায় গিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় তিনি বলেন, ‘কোথায় মতিয়ার, সাহস থাকলে আমার সামনে আয়। তোর এতো বড় সাহস, তুই আমার বাড়িতে গেছিস! তোর থানায় কয়টা অস্ত্র আছে, তার তিনগুণ অস্ত্র আছে আমার কাছে’।
একপর্যায়ে খালিদ এসআই মতিয়ারকে সামনে পেয়ে তার ওপর হামলা চালান। এতে এসআই মতিয়ারের হাতে গুরুতর চোট লাগে। এসময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ওই দুজনকে আটক করা হয়।
এদিকে তাদের ছাড়িয়ে নিতে দেনদরবার করতে থানায় ছুটে আসেন শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান ওহিদ। শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যর্থ হন।এসপির নির্দেশ থাকায় নেতাদের দেনদরবারে কোনো কাজ হয়নি। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের দুজনকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে পুলিশের হাতে আটক ছ্ত্রালীগ নেতা খালিদ সাংবাদিকদের জানান, তাকে বেনাপোল বন্দর গুদাম থেকে টায়ার চুরি মামলার আসামি করার চেষ্টা করছিলেন দারোগা মতিয়ার। এ খবর জানতে পেরে থানায় আসার পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।