মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আজিজুল আলম জানান, গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় 24 টি এবং ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে আরও একটিসহ মোট 25 টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ ও কোস্টগার্ড। অন্যদিকে চাদপুর জেলার মতলব উপজেলায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় আরও দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।এদের মধ্যে 20 জনের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সনাক্তরা হলেন, সভাগা (7), রোকসানা (34), কাওসার হালদার (26), তাসলিমা (25), খালেক (35), শাহজালাল (22), হিমা (7), শহীদ হোসেন (38), আলমাস (35), ইলিয়াস (55), জোবায়ের (4), মনির হোসেন (35), সোহেল (24), হাসেম (55), রিঙ্কু ফকির (28), মিরাজ (2) নাসিমা (24), ফজলুল হক (48), সৈয়দ আব্দুল হোসেন (55) এবং নূরে আলম (20)। লঞ্চের যাত্রীদের মাঝে এখনও পাঁচজন নিখোজ রয়েছেন বলে গজারীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান। উল্লেখ্য মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার কাছে মেঘনা নদীতে একটি তেলবাহী নৌযানের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে প্রায় তিনশতাধিক যাত্রীসহ ঢাকাগামী এমভি শরিয়তপুর-১ ডুবে গেলে এ দুর্ঘটণাটি ঘটে।