বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক স্পীকার ব্যারিষ্টার জমির উদ্দীন সরকার এমপি বর্তমান সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার। এই সরকার সম্মানিত লোকদেরকে সম্মান দিতে জানে না। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসকে নিয়ে যে ভাবে টানা হেচড়া করছে তার চরম মাশুল দিতে হবে এই সরকারকে।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যেখানে সফল হয়েছিলেন, সেখানেই ব্যর্থ হয়েছেন এই সরকার। মুক্তিযুদ্ধে বিএনপির সবচেয়ে অবদান বেশী। এই দলে সবচেয়ে বেশী মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। অথচ আওয়ামীলীগ নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক মনে করে শহীদ জিয়ার উপর কলংকের কালিমা‎ একে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকিকে রাজাকার বলতেও দ্বিধা করেনি। তাদের দ্বারা সব কিছু সম্ভব।

প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে বসে একজন চি‎হ্নিত দুর্নীতিবাজকে দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়ে দেশপ্রেমিকের সংগা’টা বদলে দিলেন। ঈদের পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে কঠিন আন্দোলনের ডাক দিযেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকেও সে আন্দোলনে অংশগ্রহন করার আহব্বান জানান।

১৪ই আগষ্ট মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় বিজয়নগরস্থ হোটেল মৌরি ইন্টারন্যাশনাল’এ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহসভাপতি আবেদুর রহমান, সহ-সভাপতি আজিজুল হক লেবু কাজী, ড. এস শাহআলম, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান ভূইয়া, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সহ-সভাপতি মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মোকাম্মেল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইবরাহিম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন শাহীন সহ প্রমুখ।

আলোচনা শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৬৮তম জন্মদিন উপলক্ষে তার দীর্ঘায়ূ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।