সাগরে মৎস্যসম্পদ রক্ষার জন্য মাছ শিকারের নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, এতে সঠিকভাবে মৎস্য আহরণ যেমন সম্ভব হবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের হারও বাড়বে।

গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ‘মৎস্য আহরণের আধুনিক সরঞ্জামাদিবিষয়ক’ এক সেমিনারে তাঁরা এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে সি রিসোর্সেস গ্রুপের মৎস্য শিকারের সরঞ্জাম তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘এসআরএল কসমস ট্রল’। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপাড়ে ইছানগর এলাকায় এই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য বিশেষজ্ঞ উলরিখ জেস হ্যানসেন। এতে বক্তব্য দেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী, এসআরএল কসমস ট্রলের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রউফ চৌধুরী, এসআরএল কসমস ট্রলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লার্স জেনসন, মেরিন ফিশারিজের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ হুমায়ুন, কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার ক্যাপ্টেন এ জেড এম জালাল উদ্দিন প্রমুখ।

আখতারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দেশে কোনো সমন্বিত মৎস্য শিকার নীতিমালা নেই। ফলে গত কয়েক দশকে এই খাত যতটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, ততটাই পিছিয়ে গেছে। এ জন্য এই খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসা উচিত।

সেমিনারে বিশ্বখ্যাত মৎস্য শিকারের সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিমরাড, কেএম ফিশ, সিসি জেনসেন, কোলেমাডসেন, মেরিন ইএল, গারওয়ার ওয়াল রোপস, স্ক্যান মেশিনারি এবং বাংলাদেশের এসআরএল কসমস ট্রল ও বাংলাদেশের ওয়েস্টার্ন ফিশার্স শিপইয়ার্ড তাদের তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদর্শন করে।