আগামী ২০ রোজার মধ্যেই বেতন-বোনাস চান গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এ সময়ের মধ্যে বেতন-বোনাস না দেওয়া হলে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় শিল্প মালিকদের ওপরই বর্তাবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও উত্সব বোনাস পরিশোধ করার দাবিতে জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত মানববন্ধন শেষে এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক গড়িমসি শুরু করেছেন। এর ফলে শিল্প এলাকায় অস্থিরতা দেখা দিলে তার জন্য মালিকরাই দায়ী থাকবেন। তারা বলেন, মঙ্গলবার নায়ায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সিকদার গার্মেন্ট শ্রমিকরা ঈদের বোনাস ও উত্সব ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বক্তারা আরও বলেন, এ নিয়ে যাতে কোনো রকম অসন্তোষ ও উত্তেজনার সৃষ্টি না হয়, সে জন্য ২০ রোজার আগে বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শিরিন আকতার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যথাসময়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ২০ রোজার আগে দেওয়ার জন্য মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেক মালিক তা মানছেন না। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘প্রত্যেক বছর ঈদে বোনাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থিরতা তৈরি হয়। এবার এটা এড়াতে আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, ২০ রোজার আগে গার্মেন্ট কারখানাসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন সব শিল্প কারখানার বেতন-ভাতা ও উত্সব বোনাস পরিশোধ করতে হবে।’ স্কপের সমন্বয়কারী ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, বেতন-বোনাস নিয়ে শিল্প এলাকায় কোনো অস্থিরতা দেখা দিলে তার জন্য মালিকরা দায়ী থাকবেন। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য শ্রমিক নেতা কামরুল আহসান, স্কপ নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা সাফিয়া পারভীন, ফারুক খান, সুলতানা আকতার, কবির হোসেন প্রমুখ।