মোবাইল ফোন অপারেটর ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির মধ্যে সমঝোতা ছাড়াই মঙ্গলবার টু-জি লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে। গত ১ অগাস্ট ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে টু-জি লাইসেন্স নবায়ন এবং দেনা পরিশোধের বিষয়ে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটর ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার খসড়া উপস্থাপন করা হয়।
ওই চিঠিতে অপারেটরদের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে সাত দিনের মধ্যে লাইসেন্স নবায়নের ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর চার দিনের মাথায় সমঝোতা ছাড়াই লাইসেন্স নবায়নের সিদ্ধান্ত দিল বিটিআরসি।
বিটিআরসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, লাইসেন্স নবায়নে আইনগত সমস্যা এড়াতেই বিটিআরসি সমঝোতায় যাচ্ছে না।
এদিকে আগামী ১৫ বছরের জন্য চার অপারেটরকে টু-জি লাইসেন্স দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে বিটিআরসি।
আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় বিটিআরসি প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ নাবয়ন করা লাইসেন্স অপারেটরদের হস্তান্তর করবেন।
গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স নবায়য়ের চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করার পর নভেম্বরে গ্রামীণফোনসহ চারটি মোবাইল অপারেটরের টুজি লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।
গত ১০ নভেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে অপারেটরদের লাইসেন্স দেওয়ার কথা ছিল।
তবে চার অপারেটরের লাইসেন্স নবায়ন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও অপারেটরদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বর্তমানে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে।
লাইসেন্স নবায়নের জন্য চার অপারেটরকে প্রায় ৭ হাজার ৫শত ৬৩ কোটি টাকা ফি দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৯ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করেছে অপারেটরগুলো।
দেশে বর্তমানে পাঁচটি জিএসএম ও একটি সিডিএমএ অপারেটর সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসির হিসাবে বর্তমানে প্রায় ৯ কোটির বেশি লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।