ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) লাইসেন্স প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে লাইসেন্স আবেদন আহ্বান করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

রোববার রাতে বিটিআরসির ওয়েব সাইটে ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার বা ভিএসপি লাইসেন্স প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত নীতিমালা ও লাইসেন্স আবেদন চেয়ে নোটিস দেওয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ভিওআইপি লাইসেন্স প্রাপ্তরা ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার বা ভিএসপি নামে পরিচিত হবে।

আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিটিআরসি কার্যালয়ে লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সসিং বিভাগে এই আবেদন জমা নেওয়া হবে। তবে কত সংখ্যক লাইসেন্স দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়নি।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, লাইসেন্স সংখ্যা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করবে। তবে লাইসেন্স মূল্যায়নের দায়িত্ব বিটিআরসির বলে জানান বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।

ভিওআইপি লাইসেন্স নীতিমালায় বলা হয়েছে, লাইসেন্স পেতে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্স ফি হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা এবং ৫ বছরের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হবে।

এছাড়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মোট আয়ের শতকরা ১০ ভাগ সরকারকে দিতে হবে। প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়ন করতে ফি দিতে হবে এক লাখ টাকা। অবৈধ ভিওআইপি রুখতে এ লাইসেন্স নীতিমালা প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরে।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন বৈধভাবে চার কোটি এক লাখ মিনিট কল রেকর্ড করা হয়। এর বাইরে গড়ে প্রতিদিন এক কোটি মিনিট কল অবৈধভাবে টার্মিনেশন করা হয় যাতে সরকারের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়। বর্তমানে বৈধভাবে প্রতি মিনিট আন্তজার্তিক কলে তিন মার্কিন সেন্ট দেশে আসে।