বাংলা চলচিত্রের উত্তম পুরুষ উত্তম কুমারের ৮৭তম জন্মদিন আজ। তাঁর পিতৃদত্ত নাম অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়। ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
উত্তম কুমারের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল দৃষ্টিদান। এই ছবির পরিচালক ছিলেন নিতীন বসু। এর আগে উত্তম কুমার মায়াডোর নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন কিন্তু সেটি মুক্তিলাভ করেনি।
বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তম কুমার কেবল নায়ক হিসেবেই নন তিনি চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, মঞ্চাভিনেতা, সুরকার বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।উত্তম অভিনীত হিন্দি ছবির মধ্যে ‘ছোটিসি মুলাকাত’, ‘অমানুষ’, ‘আনন্দ আশ্রম’ উল্লেখযোগ্য।
উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয় সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে এই জুটির ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরী’, ‘বিপাশা’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সপ্তপদী’, ‘সাগরিকা’ ইত্যাদি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
কালজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘নায়ক’ ও ‘চিড়িয়াখানা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে উত্তম প্রতিভার অন্যরকম দ্বার উন্মোচিত হয়।
১৯৬৭ সালে ‘এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ও ‘চিড়িয়াখানা’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন উত্তম কুমার। এর আগে ‘হারানো সুর’ ছবিতে অভিনয় করে রাষ্ট্রপতির সার্টিফিকেট অফ মেরিট পান তিনি ১৯৫৭ সনে।
১৯৮০ সনের ২৪ জুলাই কিংবদন্তী এ অভিনয়গুরু ইহলোক ত্যাগ করেন।