এবার শতভাগ বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করছেন জয়া আহসান-এটা পুরনো খবর। তবে নতুন খবর হল সিনেমার জন্য এবং চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেকে বদলে ফেলেছেন জয়া। ছোটপর্দার দর্শকের কাছে জয়া ইমেজ নিতান্তই আটদশজন সাধারণ রমণীর মতো। গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী হয়েও নন-গ্ল্যামারাস চরিত্রগুলোতে জয়া নন্দিত হয়েছেন বেশি। আটপৌরে শাড়ি আর সাধারণ সাজেই জয়াকে দর্শক দেখেছে বেশি। এবার সেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। সম্পূর্ণ গ্ল্যামারাস এবং তথাকথিত ভাষায় অনেকটা বাণিজ্যিক আবরণেই নিজেকে উপস্থাপন করছেন সিনেমা ক্যামেরার সামনে।

রুম্মন রশীদ খানের কাহিনী ও চিত্রনাট্যে শফিউদ্দিন পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে জয়াকে দেখা যাবে বদলে যাওয়া রূপে। নতুন ছবিতে জয়ার উপস্থিতি দেখে অনেক নির্মাতাই আক্ষেপ করে বলছেন-এমন গ্ল্যামারাস আর পরিপক্ব অভিনেত্রীরা কেন এত দেরিতে আসেন বড়পর্দায়? এমন প্রশ্নের যুক্তিও আছে।

সুবর্ণা মুস্তাফা থেকে শুরু করে জয়া আহসান পর্যন্ত, মাঝে রয়েছেন রুমানাদের মতো আরও কয়েকজন। সুবর্ণা যখন টিভির ব্যাপক জনপ্রিয় মুখ এবং তরুণী তখন অনেকেই তাকে সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। যখন সিনেমায় এলেন তখন তার পড়ন্ত বয়স ও সময়। রুমানার বেলায়ও একই ঘটনা। জয়া আহসানও অনেক দেরিতে এলেন! তারপরও জয়াকে নিয়ে প্রত্যাশা অনেক বেশি। কেননা চরিত্রের সঙ্গে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। জয়া ফ্রি মিডিয়া আর সিনেমার পার্থক্যটা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন।

জয়া নিশ্চয়ই জানেন সিনেমার দর্শক পকেটের পয়সা খরচ করে, মূল্যবান সময় ব্যয় করে প্রেক্ষাগৃহে যান। আর সত্যিকারের পেশাগত অভিনয় শিল্পীরাই চরিত্রের প্রয়োজন অনুধাবন করে কাজ করেন। এখন শুধু অপেক্ষা বদলে যাওয়া জয়া টিভিপর্দার মতো বড়পর্দায়ও সাফল্যের ঝড় তুলতে পারেন কি না। জানা গেছে, আগামী ভালোবাসা দিবসকে টার্গেট করেই নির্মিত হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ছবিটি।