লিবিয়ার নতুন সরকারের বাহিনী দেশটির ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির জন্মশহর সির্তে প্রবেশ করেছে। সেখানে গাদ্দাফি অনুগত বাহিনী প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় পরিষদের (এনটিসি) সেনারা সির্তে প্রবেশ করে। এনটিসির সামরিক মুখপাত্র আবদুল রহমান বুসিন রয়টার্সকে বলেন, “তারা এখন শহরের ভেতরে প্রবেশ করেছে। তারা দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম এবং সমুদ্রের দিক দিয়ে সমন্বিতভাবে প্রবেশ করেছে। আমি ঠিক নিশ্চিত নই তারা শহরের ঠিক কতটুকু অভ্যন্তরে প্রবেশে সক্ষম হবে।” তিনি আরো বলেন, “প্রচন্ড গোলাগুলির মুখে পড়েছে তারা। এক্ষেত্রে মূল সমস্যা হচ্ছে দূরপাল্লার আত্মগোপনকারী বন্দুকধারীরা।” এরআগে সোমবার গাদ্দাফি অনুগত বাহিনীর হামলায় রাস লানুফের কাছে একটি তেল শোধনাগারে ১৫ রক্ষী নিহত হয়েছে। গাদ্দাফি এখনো পলাতক হলেও যুদ্ধ যে শিগগিরিই শেষ হচ্ছে না সোমবারের এ ঘটনা তারই ইঙ্গিত। ওই দিন গাদ্দাফি নিয়ন্ত্রিত উপকূলীয় শহর সির্তে থেকে ১৪-১৫ টি ট্রাকে করে বন্দুকধারীরা এসে এ হামলা চালায় বলে জানান তিনি। লিবিয়ার বিদ্রোহী পরিষদ এনটিসি তেল উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ওই হামলা হয়। গাদ্দাফির নিয়ন্ত্রণাধীন অন্য শহরগুলোতেও প্রবল প্রতিরোধের মুখে রয়েছে বিদ্রোহীরা। বানি ওয়ালিদ শহরেও তাদেরকে প্রবল প্রতিরোধ অভিযানের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে প্রতিরোধ অভিযান ঠেলে বিদ্রোহীরা এখন গাদ্দাফির জন্মশহর সির্তে’য় প্রবেশ করেছে। কিন্তু সেখানে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে ওঠায় শহরটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় বিদ্রোহীদের কতদিন লাগে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। বানি ওয়ালিদ এবং সির্তে ছাড়াও এখনো গাদ্দাফি সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে আরো দুটি শহর রয়েছে।