পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী উত্তর ওয়াজিরিস্তানে মার্কিন পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোনের হামলায় অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছে। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের প্রধান নগরী মিরানশাহের উত্তরে হরমুজ এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
পাকিস্তানের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, আজ খুব ভোরে ওই এলাকায় কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। এ সব ড্রোন থেকে একটি বাড়ির উঠান লক্ষ্য করে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হলে পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের আরেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ হামলার খবর নিশ্চিত করেন।
ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে ইমরানের খানের নেতৃত্বে ওয়াজিরিস্তানের কাছে গত সপ্তাহে বিশাল শান্তি মিছিলের পর আবারো এ ধরনের হামলা হলো।
মার্কিন প্রশাসন দাবি করছে-তালেবান ও নিষিদ্ধ ঘোষিত গেরিলাদের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। তবে, বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে- ড্রোন হামলায় নিহতদের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি বেসামরিক মানুষ। এদের মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছে।
পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের বিশেষ করে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার লোকজনের এখন দিন কাটে মার্কিন ড্রোন হামলার আতঙ্কে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
এতে বলা হয়েছে, ড্রোন হামলায় আহতদের মানসিক বৈকল্য দেখা দিচ্ছে। ড্রোন হামলায় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির কারণে সেখানকার মানুষ প্রচণ্ড অর্থনৈতিক দৈন্যদশার মুখে পড়েছে, এমনকি সাধারণ মানুষ কোনো দাফন অনুষ্ঠানে যেতেও ভয় পায়। কারণ, বহুবার দাফন অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে আমেরিকা।