ভারতের চেয়ে পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ও সক্ষমতা ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। পাকিস্তান যে কোনো ধরনের যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পরমাণু শক্তি বৃদ্ধির কাজ ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে। তবে ভারত প্রয়োজন অনুসারে পরমাণু অস্ত্র শক্তি বৃদ্ধির কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বলে মার্কিন কংগ্রেসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া, ন্যাশন।
কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের (সিআরএস) প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদ পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পারমাণবিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। দেশটি অস্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে উেক্ষপণ যানের সংখ্যাও বৃদ্ধি করছে। প্রকাশিত তথ্যের বাইরে দূর ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়াচ্ছে দেশটি। কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট বেন ট্রিটি (সিটিবিটি) নিয়ম লঙ্ঘন করে পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) গবেষকরা বলেন, পাকিস্তান বেশ কিছু নতুন স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। যুদ্ধ ক্ষেত্রে এসব পারমাণবিক অস্ত্র তারা ব্যবহার করতে পারে। এসব অস্ত্রের মধ্যে কোনো কোনোটা যে কোনো দেশের রাডার ফাঁকি দিতেও সক্ষম বলে এসআইপিআরআই দাবি করে।
মার্কিন কংগ্রেসের মতে, ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ বেশি। এটা ভারতের নিরাপত্তার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছে মার্কিন কংগ্রেস। তাদের মতে, ভারত শুধু নিজেদের প্রয়োজনের জন্য পরমাণু শক্তি উত্পাদন করছে। তবে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার লক্ষ্যে দেশটি পরমাণু অস্ত্রের ক্ষমতা ও সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে বলে কংগ্রেস আশঙ্কা প্রকাশ করছে। তবে এসআইপিআরআই তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে ভিন্ন মত পোষণ করে বলছে, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের আকার ও কার্যক্ষমতা বাড়াচ্ছে। উভয় দেশই নতুন ধরনের পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে এবং তা যথাস্থানে মোতায়েন করছে। এভাবে তারা তাদের সামরিক উত্পাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।