জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তির দাবির পক্ষে মত প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার অচলাবস্থা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে মহাসচিব বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে এই অচলাবস্থার নিরসন আমাদের করতেই হবে।”  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছি যে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া উচিৎ। পাশাপাশি আমরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলে আসছি।”

‘দুটো দেশই শান্তি চায়’ উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, “সমঝোতার ভিত্তিতে এই শান্তি অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।”

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের এই অধিবেশনেই তার দেশের পূর্ণ সদস্যপদপ্রাপ্তির আবেদন করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। শুক্রবার তার এ আবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েল এর প্রবল বিরোধিতা করে আসছে। ইসরায়েলের ঘনিষ্ট মিত্র, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, এ সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘে উঠলে তারা ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।

সাধারণ অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সরাসরিই বলেন, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবে না।

“ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তা কেবলমাত্র ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলোচনার মধ্য দিয়েই অর্জন করা যেতে পারে।”

মধ্যপ্রাচ্যে দশকের পর দশক ধরে চলা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত চটজলদি শেষ হওয়ার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তির জন্য কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই।

১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকা ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে হলে প্রথমে মহাসচিবের কাছে আবেদন করতে হবে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত ৯টি দেশ তাতে সমর্থন দিলে প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির জন্য উঠবে।