মুয়াম্মার গাদ্দাফির একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে লিবিয়াকে মুক্ত করতে গিয়ে অসংখ্য তাজা প্রাণ ঝরে গেছে৷ খালি হয়েছে অসংখ্য মায়ের বুক৷ বয়েছে রক্তের বন্যা৷ তাই অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে স্মরণীয় করতে রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে লিবিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দিল এনটিসি৷ পূর্বাঞ্চলের নগরী এবং এনটিসি’র সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিত বেনগাজি শহর থেকে এই স্বাধীনতা ঘোষণা করা হলো৷

এদিকে গাদ্দাফির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মিসরাতার সামরিক মুখপাত্র ফাতহি আল-বাশাঘা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা তার ময়না তদন্ত করতে রাজি ছিলাম না কিন্তু ত্রিপোলি থেকে অনুরোধ আসে সবকিছু সঠিক নিয়ম অনুসারে সম্পাদন করার৷ তাই তার ময়না তদন্ত করা হয়েছে৷” স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে৷ তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনও তৈরি হয়নি৷ ফলে তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা এখনও জানা যায়নি৷ অবশ্য অনেক আলাপ আলোচনার পর এনটিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গাদ্দাফির দেহ তাঁর আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে৷ তবে তাঁকে কোথায় কবরস্থ করা হবে তা এনটিসি এবং তাঁর আত্মীয় স্বজনের মধ্যে আলোচনার পর নির্ধারিত হবে৷

এছাড়া গাদ্দাফিকে জীবিত আটক করার পর হত্যা করার বিষয়টি নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে৷ এ বিষয়টি নিয়ে রবিবার এনটিসি’র দিকে বাণ ছুঁড়েছেন নতুন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড৷ তিনি জীবিত আটকের পর গাদ্দাফিকে হত্যা করায় এনটিসি’র নেতাদের সুনাম ‘কালিমাযুক্ত’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন৷