সিরিয়ার পরিস্থিতি ক্রমেই সংকটময় আকার ধারণ করায় হতাশ হয়ে দেশটিতে নিযুক্ত আরব লিগ ও জাতিসংঘের শান্তিদূত কফি আনান পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডর জেনেভাতে তিনি এই ঘোষণা দেন। খবর বিবিসি অনলাইনের।

পদত্যাগের কারণ হিসেবে আনান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিরিয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের একগুয়েমির কারণেই তিনি তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।’

তবে তিনি এ কথাও বলেন যে, ‘সরকার বিরোধীরা যেভাবে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে সেটিও তার দায়িত্ব পালনকে কঠিন করে তুলেছে।’
এর পাশাপাশি সিরিয়া বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চীন এবং রাশিয়ার যে তীব্র মতপার্থক্য রয়েছে সে বিষয়টিকেও আনান সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশটির সংকট নিরসনে যখন সেখানকার বিবাদমান পক্ষগুলোর ওপর যখন সমন্বিত চাপ প্রয়োগের দরকার ছিল তখন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো সেটি না করে পরষ্পরকে দোষারোপ এবং সমালোচনা করে।’

এদিকে কফি আনানের শান্তিদূতের পদ থেকে সরে যাবার কারণ হিসেবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আসাদ সরকারকে দায়ী করে বলছে, মিশরের সরকার আনান প্রস্তাবিত ৬ দফা শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত সুজান রাইছও বলেছেন, ‘রাশিয়া এবং চীন নিরাপত্তা পরিষদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে আনানের মিশনকে অসম্ভব করে তুলেছে।’
এদিকে আনানের পদত্যাগের বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আনানের সরে যাওয়া প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ‘আনানের মতো একজন দক্ষ কূটনীতিকের এভাবে সরে দাঁড়ানোতে তিনি দুঃখিত।’ তবে সিরিয়ার সংঘাত বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে পুতিন আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবারও সেখানে ফিলিস্তিনি একটি ক্যাম্পে মর্টার হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। ইফতারের সময় দামেস্কে অবস্থিত ওই ফিলিস্তিনি ক্যাম্পে এই হামলা হয়।