ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও টুপি তৈরীতে ব্যস্ত ফরিদপুর শহরতলীর বায়তুল আমান এলাকার রেল লাইনের পাশের গ্রামের নারীরা। পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের শিকার শতাধীক পরিবারের অসহায় নারীরা গৃহস্থলী কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরীর এই ব্যতিক্রমী পেশায় রয়েছে গত ৫বছর ধরে।
প্রতিবছর রমজান মাস এলেই বেড়ে যায় এদের হাতের নিপূন কারুকাজের ব্যস্ততা।
সীমা আক্তার একজন গৃহবধু, টুপি সেলাইয়ের কাজ করে পরিবারের স্বচ্ছলতা আনয়ন করেন, শিউলি আক্তার, হালিমা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী, পরিবারের অভাব অনটনে যাতে লেখাপড়া বন্ধ না হয় তাই টুপি সেলাইয়ের কাজ করেন। শুধু সীমা আক্তার আর শিউলী আক্তারই নয় নদী ভাঙ্গন কবলিত বায়তুল আমান এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবারের শতাধিক নারী এখন টুপি সেলাইয়ের কাজ করে পরিবারকে সহযোগীতার পাশাপাশি নিজেদের প্রয়োজনে খরচ করছেন।
এই গ্রামের নারীদের নিখুঁত সূচিকর্ম খচিত টুপিগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে রপ্তানী হচ্ছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের এটুপির যথেষ্ট কদর রয়েছে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাসে ৩ থেকে ৪টি টুপি তৈরী করেন তারা, আর প্রতিটি টুপি তৈরীর জন্য মজুরী পান ৪শ টাকা করে। মাসে ১২শ থেকে ১৬শ টাকা বাড়তি আয় করে নিজের সংসারে স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে আনতে ব্যস্ত তারা।
রমজান মাসের শুরুতেই টুপির ব্যপক চাহিদায় বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততা বেড়ে গেছে এসকল টুপি সেলাইকারী নারীদের। নিজেদের সাধ্যমত টুপি সেলাইকরে দিয়ে অতিরিক্ত উপার্জনে ব্যস্ত তারা। আর এঅতিরিক্ত উপার্জন দিয়ে শখের জিনিস কিনে ঈদকে আরো বেশী আনন্দময় করে তুলতে নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবারের এই গৃহিনীরা।