২০০৬ সালের ২৭ জুলাই সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমান ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এতে এরশাদ চারদলীয় জোটে যোগ দিতে সম্মতি দেন।

০৬ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে তৎকালীন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস গোপন তারবার্তাটি ওয়াশিংটনে পাঠান। সমপ্রতি ভিন্ন ধারার গণমাধ্যম উইকিলিকস এটি প্রকাশ করেছে।

 বিএনপিও এরশাদকে প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিএনপি-জাতীয় পার্টি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সমঝোতা করবে। এগুলো হচ্ছে, জোট থেকে এরশাদের জাতীয় পার্টি কয়টি আসন পাবে এবং সরকার তাকে দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই দেবে কি না। তারবার্তায় বলা হয়, এরশাদ আমাদের (দূতাবাস) জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ দুই নারীকে নিয়ে অত্যন্ত হতাশ। তারা নতুন নেতৃত্ব খুঁজছেন। তবে দুটি জোটের একটিতে যোগ দেয়া ছাড়া জাতীয় পার্টির সামনে বিকল্প নেই। কারণ নির্বাচনে দাঁড়াতে যে অর্থ লাগবে, তা আমাদের নেই।

তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলে তার ঘাঁটিতেই কেবল নয়, তিনি দেশব্যাপী ৫০টি আসনে লড়তে চান। এরশাদের মতে, তার দল ৪০টি আসনে জিতবে।