বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই কোনো প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করার নজির নেই। অথচ এবার বর্তমান সরকারের লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প থেকে তারা অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের জন্য অসম্মানজনক না হলেও বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক নয়। গতকাল রোববার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে দলের রাজনৈতিক প্র্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই কোনো প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করার নজির নেই। অথচ এবার বর্তমানের সরকারের লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পে তারা অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের জন্য অসম্মানজনক না হলেও বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক নয়।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের সর্বনাশ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য টাকা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে বল্ওে অভিযোগ করেন তিনি। আওয়ামী লীগ উঠতি ব্যবসায়ীদের মনোনয়ন দিয়ে রাজনীতি বিনষ্ট করেছে- এ মন্তব্য করে খালেদা বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ ছিলো ড্রইং রুমে বসে রাজনীতি নয়, রাজনীতি করতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে। তিনি আমাদের এই আদর্শই শিখিয়েছেন।
চলমান বিষয়ে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জ্ঞানার্জনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু পরবর্তী সময়ে বই আকারে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলেন বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়তে হলে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা সঠিক নয়। আমাদের দেশে সরকার ও বিরোধী দল এই বিষয়ে এক না হলে তা উন্নত বিশ্বের নজরে পড়বে না; কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বিরোধী দল এক সুরে কথা বলছে, আর সরকার বলছে আরেক কথা। তারা কেবল টাকার কথাই বলছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তের ফলে কী ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই।বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। অর্থনীতি অত্যন্ত খারাপ। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নাগালে বাইরে চলে গেছে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাতে দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজক দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য, সহসভাপতি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহডোগী সংগঠনের ৪৩ জন নেতা অংশ নেন।