বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশ্ব শান্তি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার আগে প্রধানমন্ত্রীকে দেশে শান্তি আনার জন্যে বলেছেন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যে শান্তির নতুন মডেল উপস্থাপন করেছেন, বিরোধী দল বিএনপি তাকে হাস্যকর বলে বর্ণনা করেছে।
এছাড়া, বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা শেখ হাসিনা নাকচ করে দেয়ায়, তারও সমালোচনা করেন মি. আলমগীর। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির নতুন মডেলটি উপস্থাপন করতে গিয়ে শেখ হাসিনা জানান, এর মূল বিষয় হচ্ছে সব মানুষকে সমান চোখে দেখা।
তিনি বলেন, তিনি তাঁর সারা জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে শান্তির যে মডেলটি উপস্থাপন করছেন, তার ভিত্তি হলো জনগণের ক্ষমতায়ন এবং একে তিনি একটি বহুমাত্রিক একটি ধারণা হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে সবার আগে স্থান দেয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শান্তির মডেলটি উপস্থাপনের একদিন পরেই অবশ্য তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি।
মি. আলমগীর বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র দূরীকরণ, বৈষম্য দূর, বঞ্চনা-লাঘব ও সস্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটনসহ ছয়টি ধারণার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী যে মডেলটি উপস্থাপন করেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা হাস্যকর।তিনি এই মডেলটিকে প্রহসনমূলক বলেও মনে করেন।বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে অশান্তি ও অস্থিতিশীলতা চলছে সরকারের ব্যর্থতার কারণে।তিনি বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রের ব্যাপারটি অত্যন্ত জটিল হয়েছে। কয়েকদিন আগেই পত্রিকায় ছবি বেরিয়েছে যে একজন দুস্থ মহিলা ডাস্টবিন থেকে খাবার তুলে খাচ্ছেন।বিরোধী দলকে যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, নিপীড়ন করা হচ্ছে, জনমতের তোয়াক্কা না করে সংবিধান সংশোধন করা হচ্ছে, সেখানে শান্তির মডেল উপস্থাপন করা হাস্যকর।
প্রধানমন্ত্রীর শান্তির মডেল উপস্থাপনের সমালোচনা করতে গিয়ে মি. আলমগীর গত সপ্তাহে বিএনপির ডাকা হরতালের সময় পুলিশের হাতে একজন ব্যক্তির নাজেহাল হওয়ার চিত্র প্রকাশের বিষয়টিও উল্লেখ করেন।জাতিসংঘে শান্তির মডেল উপস্থাপনের পর নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তিনি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কি না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তেমন সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার নিজের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। ক্ষমতায় আসার পর সেগুলো হয় প্রত্যাহার করা হয়েছে নয়তো শেষ করে দেয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন যে রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দেয়া কখনোই গণতন্ত্রের জন্যে ভাল পদক্ষেপ নয়।