ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে সরকারবিরোধী বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে চায় বিএনপি। তার আগে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে তারা। এর অংশ হিসেবে লংমার্চ ও জেলায় জেলায় জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাত বিভাগে লংমার্চ এবং ১৯ জেলায় জনসভা করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এসব কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন। চলতি মাস থেকেই জেলা সফরে বের হবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের সফর শেষ হওয়ার পর আগামী মাসের শেষের দিকে লংমার্চ করবেন খালেদা জিয়া।
শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লংমার্চসহ নানা কর্মসূচি বিষয়ে আলোচনা হয়। গতকাল রাতে জোট ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে এসব বিষয়ে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। লংমার্চ এবং জেলাভিত্তিক জনসভায় জোটের শরিক ও সমমনা এবং নতুন রাজনৈতিক মিত্রদের সম্পৃক্ত করা হবে কি-না সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। লংমার্চ ও জনসভা সফল করতে গতকাল নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে এসব কর্মসূচি সফল করতে যুগ্ম মহাসচিব এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, বরকত উল্লা বুলু, মোঃ শাহজাহান, রিজভী আহমেদ, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে চারদলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে রোডমার্চ ছাড়াও অবস্থান ধর্মঘট, অনশন ও গণমিছিল করা যেতে পারে বলে শরিক দলের নেতারা মতামত তুলে ধরেন। পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনে হরতাল দেওয়ার কথাও বলেন তারা।