প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে, যা প্রতিফলিত হয়েছে বর্তমান সরকারের মেয়াদে নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনে। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট উইনিংটন গিবসন গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্বাচন পদ্ধতি শক্তিশালী করতে চাই। আর এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে, যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে এটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।’ শেখ হাসিনা নতুন ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, তার দায়িত্ব পালনকালে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও গভীর হবে। তিনি ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পেতে ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং দু’দেশের মধ্যে বর্ধমান বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বৃহত্তর অর্থনৈতিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অধিকতর সহযোগিতা এবং ২০১৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে বার্ষিক সহায়তা বর্তমান সাড়ে ১২ কোটি পাউন্ড থেকে দ্বিগুণ করে ২৫ কোটি পাউন্ড করার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে অংশীদারিত্বের সাফল্য দেখিয়েছে, এটি তারই প্রতিফলন।’
বাংলাদেশের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, অপরিবর্তনীয় জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করবে। এ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিলে সহজ প্রবেশাধিকার এবং পরিবেশবান্ধব লাগসই প্রযুক্তির আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং পানিধারণ ক্ষমতা ও নাব্য বৃদ্ধির জন্য দেশের বিভিন্ন নদী ড্রেজিংয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। সেইসঙ্গে তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রেও যুক্তরাজ্যের সহায়তা চান।