শিক্ষা মন্ত্রণালয় অটিস্টিক শিশুদের জন্য উপযোগী ছাত্রাবাস, শিক্ষাপোকরণ, আসবাবপত্র, একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন সম্বলিত একটি বিশেষায়িত অটিজম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে। এছাড়া সারাদেশের ১৫,০০০ শিক্ষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান, মা-বাবাদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে শীঘ্রই একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বুধবার অটিস্টিক শিশুদের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ্যাকশন প্লান চূড়ান্ত করা হয়েছে।

শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গ্লোবাল অটিজম এন্ড পাবলিক হেলথ (জিএপিএইচ-বাংলাদেশ)-এর কো-চেয়ারপারসন ডা: প্রাণগোপাল দত্ত, জাতীয় শিক্রম ও পাঠ্যপুস্ত্মক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোস্তফা কামালউদ্দিন, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক প্রফেসর শেখ ইকরামুল কবীর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল্লা হিল আজাদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (মাধ্যমিক), ১৪টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের অধ্যক্ষ, ৫টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

সব ক’টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে অটিজমের ওপর কোর্সে এক বা একাধিক কাস নেয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। নায়েম জিএপিএইচ-বাংলাদেশ-এর সহায়তায় শীঘ্রই অটিজমের ওপর একটি কাস হ্যান্ডআউট প্রণয়ন করবে।

অটিজমের বিষয় প্রণীতব্য শিক্ষা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২০১৩ সালের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্ত্মকে অটিজম সংক্রান্ত বিষয় থাকবে এবং পরবর্তীকালে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির পাঠ্যক্রমেও যুক্ত করা হবে। প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে শীঘ্রই অটিজম বিষয়ক একটি কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।

শিক্ষাসচিব অটিজম বিষয়ে প্রকল্প বা কর্মসূচি প্রণয়নের পূর্বে এখন থেকেই সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন।