মাওয়ায় ভাঙনের কবলে পদ্মায় তলিয়ে যাওয়া ছয় জনের মধ্যে দুই জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এরা হলেন- শাহজাহান (৩৫) ওজালু সিকদার (৫০)। তারা মাওয়া ঘাটের দোকানদার ছিলেন। দুজনেরই বাড়ি মুন্সীগঞ্জের মেদিনী মণ্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামে। বুধবার সকালে পদ্মা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য এস আই খন্দকার খালিদ। তিনি বলেন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল এলাকায় জালু সিকদারের এবং শরীয়তপুরের সুরেশ্বর এলাকায় পদ্মা নদীতে শাহজাহানের লাশ ভেসে ওঠে। গত রোববার সন্ধ্যায় মাওয়া১ নম্বর ফেরিঘাট নদীতে তলিয়ে যায়। ভাঙনের সময় পন্টুন ও তীরে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন নদীতে ছিটকে পড়ে। কয়েকজন তীরে উঠতে পারলেও ছয়জন পদ্মার স্রোতে ভেসে যায়। পদ্মার ভাঙনের কারণে গত ৯অক্টোবর প্রথমে মাওয়া ২ নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন কিছু অংশ ভেঙেপড়ায় এবং ফাটল দেখা দেয়ায়এই ১নম্বর ঘাটও বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি মেরামত শেষে আবার ঘাট সচল হলেও পাঁচ দিনের মাথায় রোববার পুরো ঘাটই তলিয়ে যায়। মাওয়ায় বর্তমানে শুধু ৩ নম্বর ঘাট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এতে দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। মঙ্গলবার ৭ ঘন্টা বন্ধ রেখে এই ঘাট মেরামত করা হলেও বুধবার আবার ফাটল দেখা যায়। ফেরিঘাটের পাশেমাটি ধসে যাওয়ায় যে কোনো সময় পারাপার বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলে বিাইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক এসএম আশিকুজ্জামান জানিয়েছেন। এদিকে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের ঘোষণা অনুযায়ী মাওয়ায় আরো তিনটিনতুন ঘাট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। আপাতত মাওয়ার পরিবর্তে দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহারের জন্য গাড়ি চালকদের অনুরোধজানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।