টানা দুই দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর আবার পতনের ধারায় ফিরে এসেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে ডিএসই’র লেনদেন কমে প্রায় তিন বছর আগের অবস্থায় পেঁৗছেছে। এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক প্রায় ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে হয় ৫ হাজার ২০৮ পয়েন্টে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার। শেষবার এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর। ওইদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০৯ কোটি টাকা। অবশ্য পুঁজিবাজারে ব্যাপক অস্থিরতার সময় চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ডিএইতে মাত্র ৬৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন সূচক কমার সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করায় ৬ মিনিটের মাথায় লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর আগে গত বছর ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া দরপতনের ধারা থেকে পুঁজিবাজারকে বের করতে বিভিন্ন পক্ষের দাবির মুখে গত বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। এতে একমাস চাঙ্গাভাব থাকলেও জুলাইয়ের শেষ দিকে আবার নিম্নমুখী ধারা শুরু হয় দেশের দুই পুঁজিবাজার। গত প্রায় তিন মাসে ডিএসই সূচক কমেছে ১ হাজার ৫০০ পয়েন্টের মতো। গত রোববার ডিএসই সাধারণ সূচক কমে প্রায় দুই বছর আগের অবস্থায় চলে আসে। চারদিন টানা দরপতনের পর মঙ্গলবার ডিএসই সাধারণ সূচক ১৬৮ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২০৫ দশমিক ১৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। বুধবার তা সামান্য বেড়ে হয় ৫ হাজার ২০৯ দশমিক ৪১ পয়েন্ট। এদিকে সপ্তাহের শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইর সাধারণ সূচক দশমিক ৪৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৫ হাজার ২০৮ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে নেমে আসে।
এ ব্যাপারে ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে অনুপস্থিত থাকার কারণেই লেনদেন এত কম হচ্ছে। সব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী মিলে মাত্র ২০০ কোটি টাকার লেনদেন করতে পারছে না_ এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। লেনদেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা বাজারে নেই।

বেসরকারি ব্যাংক মালিকরা বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলে বাজারে না এসে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আরও একবার প্রতারণা করল। গতকাল লেনদেন হওয়া ২৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১২০টির। অন্যদিকে দর বেড়েছে ১২০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।