মুদ্রা পাচারের দুই মামলায় ডেসটিনি-২০০০ এর প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিনসহ তিনজনের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে দেয়।

তাদের মধ্যে হারুন-অর-রশিদ, রফিকুল আমিন ও ডেসটিনির পরিচালক মো. হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জহুরুল হক জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে দুদকের পক্ষ থেকে এই তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জহুরুল হকের আদালতে আবেদন করা হলে তিনি তা না শুনে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠাতে বলেন।

দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে শুনানি হবে।

জামিন খারিজের পর ডেসটিনি প্রেসিডেন্টসহ তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় ফটকে উপস্থিত ২০-২৫জন ডেসটিনি কর্মীর সঙ্গে পুলিশের সামান্য ধস্তাধস্তি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর আদালত যে ২২ জনের জামিন বাতিল করে ‘এখতিয়ার সম্পন্ন’ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ডেসটিনির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা মো. গোফরানুল হক, আবুল কালাম আজাদ ও মো. সাইদ উর রহমানও রয়েছেন।

সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর পাচারের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই ২২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্লান্টেশেন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ পাচারের ‘প্রমাণ’ পেয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলি সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি দায়ের করেন।

মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহ আসামিদের সবাইকে জামিন দিলেও এর আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জামিনের ওই আদেশ বাতিল করেন।