চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে সাড়ে ৮ শতাংশ যা সরকারের প্রাক্কলনের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির পথে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ ৫টি ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে এডিবি।গত বুধবার প্রকাশিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) আপডেট এ বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে এসব মূল্যায়ন এসেছে।
রিপোর্টে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ৫টি প্রধান ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে। প্রথমত, উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তার মুদ্রানীতির অবস্থানে (ঋণ প্রবাহ বর্তমান পর্যায় থেকে কমিয়ে আনা) ছাড় দিতে হতে পারে অথবা মুদ্রানীতি সংকোচনের উদ্যোগ মূল্যস্ফীতি ও আমদানি নিয়ন্ত্রণ নাও করতে পারে। কেননা অনেক সময় নীতির প্রভাব সঙ্গে সঙ্গেই পড়ে না, প্রভাব বিলম্বিত হয়। দ্বিতীয়ত, বাজেট অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ এবং বৈদেশিক অর্থায়ন নাও হতে পারে। তৃতীয়ত, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে ব্যর্থ হলে শিল্প উৎপাদন প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়বে না। চতুর্থত, রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনৈতিক কর্মকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি। এডিবির মূল্যায়নে জানানো হয়, সরকারের পক্ষে চলমান উচ্চ মূল্যম্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টসাধ্য হবে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে উচ্চ মূল্যম্ফীতি বিরাজ করছে। এ ছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ার কারণেও মূল্যম্ফীতি বেড়েছে। মূল্যম্ফীতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নির্ভর করবে মুদ্রা ও ঋণ সরবরাহ কতটা কমানো যাবে তার ওপর।
অন্যদিকে আর্থিক খাত সম্পর্কে মূল্যায়নে এডিবি বলেছে, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে মুদ্রানীতি এবং সরকারের আর্থিক নীতির মধ্যে নিবিড় সমন্বয়ের প্রয়োজন। মূল্যম্ফীতি এবং বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে যে বাড়তি চাপের সৃষ্টি হয়েছে তা স্তিমিত করতে ঋণ সমপ্রসারণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন করতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার বিষয়ে সরকারকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।