প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য লি চ্যাংচুন।

রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, “চীনেরকমিউনিস্ট পার্টির এই শীর্ষ নেতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি তার দেশের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে বলবেন।”

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য চীনের সহযোহিতা চান বলে আবুল কালাম আজাদ জানান। চীনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রী ওয়াং জিয়ারুই; শিক্ষা মন্ত্রী ইউয়ান গুইরেন; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী চাই উ; রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র বিষয়ক মন্ত্রী চাই ফুকগাও; প্রেস ও প্রকাশনাবিষয়ক মন্ত্রী লিন বিনজেই; প্রচার বিভাগের উপমন্ত্রী সুন ঝিজুন; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ মন্ত্রী জিয়াং ঝেংউই এবং বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশ থেকে আরো পণ্য আমদানির জন্য বৈঠকে লি চ্যাংচুনের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা। অন্যদিকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা বাংলাদেশের জ্বালানি, কৃষি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনের কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরেন।

পাগলার পানি শোধনাগার সম্ú্রসারণে চীন সরকার সহযোগিতা করবে বলে লি চ্যাংচুন জানান। চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরবৃত্তি দ্বিগুণ করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে সেতুসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অন্যদিকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দেন সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির এই নেতা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন লি চ্যাংচুন। তিনি ‘ভিশন-২০২১’ পরিকল্পনাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতি এবং অর্জনেরও প্রশংসা করেন।

আবুল কালাম আজাদ জানান, চীনা নেতা বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ককে ‘পুরনো বন্ধুত্ব’ হিসাবে উল্লেখ করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের কথা স্মরণ করেন।

লি চ্যাংচুন বলেন, এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও স্থীতি বজায় রাখতে দুই দেশ আগামীতেও একসঙ্গে কাজ করবে। শেখ হাসিনাও আওয়ামী লীগ ওচীনা কমিউনিস্ট পার্টির দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন এবং এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককেআরো এগিয়ে নেয়ার আশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং শান্তি নিশ্চিত করতে চায়। দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ইকবাল মাহমুদ, বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদ, অ্যম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ উজ জামান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।