গতকাল সোমবারও রাজধানীতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর ও গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে অস্থির পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে।সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পদক্ষেপই পুঁজিবাজারের অস্থিরতা বন্ধ করতে পারছে না।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে বিনিয়োগকারীরা বেলা সাড়ে ১১টায় রাস্তায় নেমে আসেন। তারা কাঠখড় ও কাগজে আগুন জ্বালিয়ে ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন।

 প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় কয়েকজন বিনিয়োগকারী ডিএসইর অ্যানেক্স ভবনে ঢুকে বেশ কয়েকটি সিকিউরিটিজ ও ব্রোকারেজ হাউসের দরজার গ্লাস ও ভবনের আট তলায় ডিএসইর লাইব্রেরির সামনের অভ্যর্থনা ডেস্ক ভাঙচুর করে। বিক্ষুব্ধরা ঝাড়ু ও জুতা হাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে মিছিল করতে থাকেন। তারা অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেস্নাগান দেন। এ সময় মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ডিউটি অফিসার জানান, গাড়ি ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়নি। রাতে সিনিয়র অফিসাররা অফিসে এলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অন্যদিকে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিইসি) কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগংয়ের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।